নুরুল আমিন হেলালী :
কোরবানের ঈদকে সামনে রেখে কক্সবাজারের হাট-বাজারগুলোতে উর্ধ্বমূখী মসলার বাজার। সপ্তাহখানেক আগেও স্থিতিশীল থাকা বাজারে এই সপ্তাহের শুরুতেই বাড়তে শুরু করেছে সবধরনের মসলার দাম। বাজার ঘুরে দেখা যায়, একসপ্তাহের ব্যবধানে ১শ থেকে দেড়শ টাকা বেড়েছে প্রতি কেজি মসলার দাম। কোরবানের বাড়তি চাহিদাকে পুঁজি করে অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা অযৌক্তিকভাবে দাম বাড়িয়েছে বলে অভিযোগ ক্রেতা সাধারনের। অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা জানান, পাইকারী বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় খুচরা ব্যবসায়ীদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। শহরের বড়বাজার, বাহারছড়া, কলাতলী বাজার, কানাইয়ার বাজার, রুমালিয়ার ছড়াসহ কয়েকটি মুদির দোকান সরেজমিনে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে সবধরনের মসলায় দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে এলাচি, রসুন, হরুদ, মরিচ, পেঁয়াচ, দারুচিনি, লবঙ্গ, বাদাম ও কাঁচা মরিচের দাম। ক্রেতারা জানান, এলাচি প্রকার ভেদে ১১৫০-১৪০০ টাকা, হলুদ ১৩৬ থেকে ১৫০ টাকা, জিরা ৩৫০ থেকে ৩৮০ টাকা, শুকনা মরিচ ১৮০ থেকে ২২০ টাকা, দারুচিনি ২৪০ থেকে ৩২০ টাকা, লবঙ্গ ৮৫০ থেকে ১০০০ টাকায়, পেঁয়াচ ২৫ থেকে বেড়ে ৬০ টাকায় কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ফ্রেশ ইন রেস্তোরার মালিক নুরুল কবির জানান, কোরবানের ঈদকে সামনে রেখে ব্যবসায়ীরা সবধরনের মসলাপন্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। ফলে মসলার বাজার করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত হিমশিম খেতে হচ্ছে। মুদির দোকানগুলোতে ভোগ্যপন্যের দামের তালিকা টাঙানোর নিয়ম থাকলেও শহর কিংবা গ্রামের হাট-বাজারগুলোতে অধিকাংশ দোকানে তা দেখা যায়নি। ফলে যে যেভাবে পারছে সেভাবে দাম নিচ্ছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। অন্যদিকে কয়েকদফা বন্যার প্রভাবে দাম বেড়েছে সবজিসহ নিত্যপণ্যের দাম।
পাঠকের মতামত: